হারুনর রশিদ, মহেশখালী:

মহেশখালী-কক্সবাজার জেটিঘাটের কাঠের জেটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায় এক স্কুল শিক্ষিকাসহ অনেক যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ জানুয়ারী শনিবার বিকাল ৩ টায়। দূর্ঘনার শিকার প্রত্যক্ষদর্শী জেটি ভেঙে নদীতে পড়ে যাওয়া স্কুল শিক্ষিকা তৌহিদা আক্তার জানান, কক্সবাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মহেশখালী জেটিঘাটের কাটের অংশে শিশু সন্তানসহ আরো সহ ২০/৪০ জনের পর্যটক অবস্থান করছিল। পুর্ণ জোয়ারের সময়ে পূর্বদিক থেকে আসা একটি গাম বোট যাত্রী উঠার জন্য জেটিঘাটে নোঙ্গর করে। মুৃহুর্তের মধ্যে অবস্থানরত যাত্রীরা ঐ বোটে উঠার সময় কাঠের জেটি ভেঙে ১২/১৫ জন পর্যটক ও স্থানীয় যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। মহেশখালীর জেটিঘাটের সম্মুখে ড্রেজিং করা গর্তে পূর্ণ জোয়ারের সময় অথৈ পানিতে ঠাঁই না পেয়ে পানিতে ডুবে গেলেও ঘাটে টুল আদায়কারী সরকারী প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট লোকজন নিরব ভূমিকায় চেয়ে থাকে। পানিতে ডুবে যাওয়া শিক্ষিকা তৌহিদা জানান, পানিতে পড়ে নিচে মাটির অংশ খুজ না পেয়ে মৃত্যু নিশ্চিৎ ভেবে কালেমা পড়েন।মুহুর্তে জেটিতে আগত এক বৃদ্ধযাত্রী নদীতে ঝাপ দিয়ে আমাকে ও অপরাপর লোকজনদেরকে উদ্ধার করে কূলে তুলে আনে। কোন মতে শিক্ষিকা সহ তার দুই মেয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। তিনি আরো জানান উদ্ধার হওয়ার পর বিষয়টি মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোনে অবগত করা হয়।

বর্তমান সময়ে মহেশখালী জেটিঘাটের দূর্দশা লাঘবে ড্রেজিংএর কাজ শুরু হলেও শীতকালীন পর্যটন মৌসুমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক মহেশখালীতে ভ্রমণে আসলেও একবার আসা লোক আগামীতে এই ঘাটের উঠা নামা,গাড়ি চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সহ নানা অনিয়ম অসতআাচরণের কারনে না আসার কথা শিকার করেন। সাধারণ যাত্রীদের ঘাটে উঠা নামার বিড়ম্বনা যথই বৃদ্ধিপায় প্রশাসনের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই বলেই ভূক্তভোগিদের অভিযোগ।

বড় মহেশখালীর বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, আমলা এবং প্রভাবশালীরা জেটিঘাটে আসলে তাদেরকে জামাই আদরে ট্রলারে/স্প্রীড বোটে তুলে দেয়। দিন দিন যাত্রী সাধারণের বিড়ম্বনা শুধু বেড়েই চলেছে। সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষসহ প্রতিদিন যুক্ত হওয়া হাজার হাজার পর্যটক দ্বীপের সাথে যোগাযোগ করতে পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঘটনার চিত্র ধারণকালে দেখা যায় শত শত পর্যটক ও যাত্রী বিকাল ৫ টায় জেটি ঘাটে স্প্রীড বোট ও লোকাল যাত্রীবাহি ট্রলারের জন্য দাড়িয়ে থাকলেও মহেশখালীর প্রভাবশালীরা ও সরকারী কর্তারা তাৎক্ষনিক ভাবে দ্রুত পরিবার পরিজন নিয়ে কক্সবাজার চলে যাওয়া দৃশ্য চোখে পড়ে।

জেটিঘাটে কর্মরত একজন শ্রমিক নাম না বলার শর্তে জানান জেটি সম্মুখে ড্রেজিংএ গর্ত হওয়ায় কাটের জেটির খুটি হেলে পড়ে যায়। বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন ঐ কাটের জেটিতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে সতর্ক সংকেত দিলে এমন দুর্ঘটনা থেকে পর্যটক ও যাত্রীরা রেহাই পেত। তাদের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার কারনে এ ভাবে নিয়মিত দূর্ঘটনা ঘটছে।